ভারতের রাজস্থানে একটি বাসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ২০ জন যাত্রী পুড়ে মারা গেছেন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আরও ১৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছেন। খবর এনডিটিভির।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে এই আগুন লেগেছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে বাসটি ৫৭ জন যাত্রী নিয়ে জয়সালমির থেকে রওনা হয়। জয়সালমির যোধপুর মহাসড়কে চলার সময় বাসটির পেছনের অংশ থেকে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। চালক রাস্তার পাশে বাসটি থামালেও মুহূর্তের মধ্যেই পুরো গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ১৫ জনের মধ্যে চারজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। তাদের প্রথমে জয়সালমিরের জওহর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য যোধপুরে স্থানান্তর করা হয়। দ্রুত স্থানান্তরের জন্য ন্যাশনাল হাইওয়ে ১২৫ এ একটি গ্রিন করিডর তৈরি করা হয়।
এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা মঙ্গলবার গভীর রাতে জয়সালমির পৌঁছান এবং দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি পরিদর্শন করেন।
জয়সালমিরের জেলা কালেক্টর প্রতাপ সিং নিশ্চিত করেছেন যে, বাসটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে এবং অনেক ভুক্তভোগীর মরদেহ শনাক্তের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে যোধপুর থেকে ডিএনএ ও ফরেনসিক দল এসেছে।
কালেক্টর জানান, আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় অনুসরণ করা প্রোটোকল অনুযায়ী ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই প্রাণহানিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল (পিএমএনআরএফ) থেকে নিহতদের নিকটাত্মীয়দের ২ লাখ রুপি করে এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি মাত্র পাঁচ দিন আগেই কেনা হয়েছিল!